1. মনির খান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

লোহাগড়ার ১০ নং কোটাকোল ইউনিয়নের গোপন পাসওয়ার্ড লোহাগড়া থানার সামনে কম্পিউটার ল্যাবে জন্ম নিবন্ধনের কাজে ব্যবহারিত হচ্ছে
কম্পিউটার অপারেটর আশীষ কে নিবন্ধন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি কোটাকোল ইউনিয়নের নিবন্ধনের কাজ ৫/৭ বছর যাবত করে আসছি। গত ৬মাষ হলো নতুন নিবন্ধনের পাসওয়ার্ড টি পেয়েছি।

কোটাকোল ইউনিয়নের সচিবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন আমি লোহাগড়া থানার সামনে কম্পিউটার ল্যাবের আশীষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নিবন্ধনের কাজ করে আসছি। সরেজমিনে কোটাকোল ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় ওখানেও একজন কম্পিউটার ম্যান নিবন্ধনের কাজ করছে।

নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন মহিলা তার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে সচিবের সঙ্গে কথা বলছে যে আমি বাহির থেকে করে এনে দিলে আপনারা বাকি কাজটা করে দিতে পারবেন? আমার মেয়ের কলেজের জন্য জন্ম নিবন্ধন টি খুবই জরুরী।

ওই মহিলার কথার জবাবে সচিব বললেন আপনি কোথা থেকে করবেন তখন ওই মহিলা বললেন আমি লোহাগড়া থানার সামনে কম্পিউটার ল্যাবের আশীষ থেকে একদিনের মধ্যে করে আনতে পারব। তখন সচিব রেগে গিয়ে বললেন আপনার জন্ম নিবন্ধন একমাস পর পাবেন তখন ওই মহিলাও সচিবের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

একটি ইউনিয়নের সচিব ও চেয়ারম্যানের উপর সরকার কর্তৃক ন্যস্ত করা পাসওয়ার্ড যদি বাহিরে কম্পিউটার দোকানে বা বাজারে ব্যবহার করা হয়,ও জন্ম নিবন্ধন কাজ করা হয়, তাহলে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু ? চেয়ারম্যান জনাব মারিয়া কে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন বাহিরে বা বাজার এলাকায় কোন কম্পিউটার রুমে তো ইউনিয়ন সচিবের জন্ম নিবন্ধনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার কথা না।

আরো জানা যায় ১ টি জন্ম নিবন্ধন করতে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের। এ পর্যন্ত লক্ষ টাকার উপরে নিবন্ধনে বাণিজ্য হয়েছে বলে জানা যায়।